বিপরীতার্থক শব্দ প্রয়োগে বাক্য রচনা (১০.৩)

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলা ব্যকরণ ও নির্মিতি - শব্দার্থ | NCTB BOOK
3.2k
Summary

বাংলা ভাষায় বিপরীতার্থক শব্দগুলো পরস্পরের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। এসব শব্দের ব্যবহার ভাষার সৌন্দর্য এবং ভাব-প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কয়েকটি বিপরীতার্থক শব্দ ও তাদের উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • অধম - উত্তম: তুমি অধম বলেই আমাকে উত্তম হতে হবে।
  • আয় – ব্যয়: আয় বুঝে ব্যয় কর।
  • উপকার – অপকার: কারও উপকার করতে না পারো, অপকার করো না।
  • ঊর্ধ্ব – নিম্ন: ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণীতল।
  • কুৎসিত – সুন্দর: বাইরের সুন্দর চেহারাটি দেখেছ, ভেতরের কুৎসিত মনটি দেখ নি।
  • খ্যাতি – অখ্যাতি: সেলিমের খ্যাতির সাথে কিছু অখ্যাতিও আছে।
  • গদ্য - পদ্য: আমি গদ্য লিখি, পদ্য লিখতে পারি না।
  • ঘটন – অঘটন: লেখকরা অঘটন ঘটন পটীয়সী প্রতিভা নিয়ে জন্মান।
  • চলা – থামা: চলতে চলতে থামলে কেন?
  • জন্ম – মৃত্যু: জন্ম যখন নিয়েছি, মৃত্যু তো অবধারিত।
  • টক – মিষ্টি: বেণু টক খেতে পছন্দ করে, মিষ্টি মোটেই খায় না।
  • ঠাণ্ডা – গরম: গরমে গলা শুকিয়ে গেছে, একটু ঠাণ্ডা পানি খাওয়াবে?
  • ডান – বাম: রাস্তা চলার সময় বামদিক দিয়ে চলবে, ডানদিক দিয়ে নয়।
  • ঢাকা – খোলা: খাবার ঢাকা দিয়ে না রেখে খোলা রেখেছ কেন?
  • তরল - কঠিন: তরল পানি জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
  • দিন – রাত: রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাতায় আছি।
  • ধ্বংস – সৃষ্টি: আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি অবসান।
  • নিরীহ – দুর্দান্ত: যতটা নিরীহ ভাবছ, ও ততটাই দুর্দান্ত।
  • পটু – অপটু: প্রকাশ কাজে যত অপটু, খাওয়ায় ততখানিই পটু।
  • প্রকাশ – গোপন: সত্যি কখনো গোপন থাকে না, একদিন প্রকাশ পাবেই।
  • ফর্সা – কালো: ফর্সা-কালোয় কিছু যায় আসে না, আমি একজন সৎ ও বিশ্বাসী বন্ধু চাই।
  • বড় – ছোট: বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।
  • ভেজা – শুকনো: তোমার ভেজা মাথাটা শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নাও।
  • যত - তত: যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা!
  • শূন্য - পূর্ণ: শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।

বাংলা ভাষায় এমন কতকগুলো শব্দ আছে যেগুলো পরস্পরের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ প্রকাশক এসব শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বলে।

ভাষার সৌন্দর্য সৃষ্টি এবং ভাব-প্রকাশের ব্যাপকতার জন্য এ জাতীয় শব্দ জানা জরুরি। নিচে কয়েকটি বিপরীতার্থক শব্দের নমুনা বাক্য সহযোগে তুলে ধরা হলো।

অধম - - উত্তম : তুমি অধম বলেই আমাকে উত্তম হতে হবে।

আয় – ব্যয় : আয় বুঝে ব্যয় কর।

উপকার – অপকার : কারও উপকার করতে না পারো, অপকার করো না।

ঊর্ধ্ব – নিম্ন : “ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণীতল।”

কুৎসিত – সুন্দর : তোমরা তার বাইরের সুন্দর চেহারাটি দেখেছ, ভেতরের কুৎসিত মনটি দেখ নি।

খ্যাতি – অখ্যাতি : সেলিমের খ্যাতির সাথে সাথে কিছু অখ্যাতিও আছে।

গদ্য - পদ্য : আমি গদ্য লিখি, পদ্য লিখতে পারি না।

ঘটন – অঘটন : লেখকরা অঘটন ঘটন পটীয়সী প্রতিভা নিয়ে জন্মান।

চলা থামা : চলতে চলতে থামলে কেন?

জন্ম – মৃত্যু : জন্ম যখন নিয়েছি, মৃত্যু তো অবধারিত।

টক – মিষ্টি : বেণু টক খেতে পছন্দ করে, মিষ্টি মোটেই খায় না।

ঠাণ্ডা – গরম : গরমে গলা শুকিয়ে গেছে, একটু ঠাণ্ডা পানি খাওয়াবে?

ডান – বাম : রাস্তায় চলার সময় বামদিক দিয়ে চলবে, ডানদিক দিয়ে নয়।

ঢাকা – খোলা : খাবার ঢাকা দিয়ে না রেখে খোলা রেখেছ কেন?

তরল - কঠিন : তরল পানি জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।

দিন – রাত : ‘রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাতায় আছি। ’

ধ্বংস – সৃষ্টি : “আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি অবসান, . নিশাবসান৷ ”

নিরীহ – দুর্দান্ত : তাকে দেখে যতটা নিরীহ ভাবছ, ও ততটাই দুর্দান্ত।

পটু – অপটু : প্রকাশ কাজে যত অপটু, খাওয়ায় ততখানিই পটু।

প্রকাশ – গোপন - : সত্যি কখনো গোপন থাকে না, একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।

ফর্সা – কালো : ফর্সা-কালোয় কিছু যায় আসে না, আমি একজন সৎ ও বিশ্বাসী বন্ধু চাই।

বড় – ছোট : ‘বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।'

ভেজা – শুকনো : তোমার ভেজা মাথাটা শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নাও ৷

যত - তত : ‘যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা!’

শূন্য - পূর্ণ : “শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।”

Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...